আমাদের
দেশে বেশির ভাগ পুরুষ
আছেন যারা বিয়ে করেন
শুধু নিজের তৃপ্তির জন্য
বা ভোগ করার জন্য
! যার ফলে দেখা যায়
স্বামী-স্ত্রী যখন মিলিত
হন তখন একজন পুরুষ
বীর্যপাত হওয়ার আগ পরজান্ত
মিলিত থাকেন এবং যখনি
বীর্যপাত হয়ে যায় তখনি স্ত্রীর কথা
চিন্তা না করে বা
স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি না দিয়ে
উঠেযান। এর
ফলে তার স্ত্রীর প্রতি
এক প্রকার অবিচার করা
হয়।
ইসলামের
সমালোচকরা অনেকে বুঝাতে চান
যে ইসলামে নারীদের যৌন
চাহিদার কোন মূল্য নাই,
বরং এই ব্যাপারে পুরুষকে
একতরফা অধিকার দেওয়া হয়েছে,
পুরুষ যখন ইচ্ছা তখন
যৌন চাহিদা পূরণ করবে
আর স্ত্রী সেই চাহিদা
পূরণের জন্য সদা প্রস্তুত
থাকবে। সূরা
বাকারার ২২৩ নম্বর আয়াতে
বলা হয়েছে- أَنَّىشِئْتُمْنِسَآؤُكُمْحَرْثٌلَّكُمْفَأْتُواْحَرْثَكُمْ
(তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য
শস্য ক্ষেত্র। তোমরা
যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার
কর।) হঠাৎ
করে এই আয়াতাংশ কারো
সামনে পেশ করা হলে
মনে হতে পারে যে
এখানে পুরুষকে যখন ইচ্ছা তখন
তার স্ত্রীর সাথে যৌনাচার অবাধ
অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, আসলেই
কি তাই ? এটা ঠিক
যে ইসলাম স্ত্রীদেরকে স্বামীর
যৌন চাহিদার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে,
কিন্তু স্বামীকে নিজ চাহিদা আদায়ের
ব্যাপারে উগ্র হবার কোন
অনুমতি যেমন দেয়নি তেমনি
স্বামীকেও স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি
যত্মবান হবার নির্দেশ দিয়েছে।
ইসলাম
স্ত্রীকে বলেছে যদি রান্নরত
অবস্থায়ও স্বামী যৌন প্রয়োজনে
ডাকে তবে সে যেন
সাড়া দেয়, অন্য দিকে
পুরুষকে বলেছে সে যেন
তার স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ
করে, স্ত্রীর কাছে ভালো সাব্যস্ত
না হলে সে কিছুতেই
পূর্ণ ঈমানদার বা ভালো লোক
হতে পারবে না।
এই কথা জানার পরও
কোন পুরুষ কি স্ত্রীর
সুবিধার প্রতি কোনরূপ লক্ষ
না রেখেই যখন তখন
তাকে যৌন প্রয়োজনে ডাকবে?
ইসলাম পুরুষকে এব্যাপারেও সাবধান করে দিয়েছে
যে নিজের যৌন চাহিদা
পূরণ করতে গিয়ে স্ত্রীর
যৌন চাহিদার কথাকে সে যেন
ভুলে না যায়।
তাই শুধু নিজের চাহিদার
কথা ভাবলে হবেনা আপনার
স্ত্রীর পূর্ণ তৃপ্তির প্রতিও
খেয়াল রাখবেন।